লকডাউনে শ্রমজীবীদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা, জরুরি অক্সিজেন সেবা নিশ্চিতসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। 

রোববার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো ফয়েজ উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য জিকে সাদিক।

সভাপতির বক্তব্যে ফয়েজ উল্লাহ বলেন, শ্রমজীবীদের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত না করে লকডাউনের ঘোষণা কোনো সুফল বয়ে আনছে না। গার্মেন্টস খোলা আছে, কিন্তু যানবাহন চলছে না। এটি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। শ্রমিকেরা পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রের অমানবিক চিত্র আমাদের সামনে ফুটে উঠছে। 

তিনি বলেন, লকডাউনের সুফল পেতে অবিলম্বে শ্রমজীবীদের রেশনিং এর আওতায় আনতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব নাগরিকের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সংকটসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব দেখা দিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা দেখলাম, সাতক্ষীরায় হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম বিকল হয়ে মানুষ মারা গিয়েছে। কার গাফিলতির কারণে এত মানুষের প্রাণ গেল তার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। 

ফয়েজ উল্লাহ বলেন, রাজশাহীতে একজন কলেজ শিক্ষকের হাত ভেঙে দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে একজন নাগরিককে আঘাত করার স্পর্ধা দেখিয়েছেন এ ম্যাজিস্ট্রেট। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। টিকা নিয়ে ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। 

ছাত্র ইউনিয়নের দাবিগুলো হলো- শ্রমজীবী মানুষদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে, জরুরি অক্সিজেন সেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং লকডাউনে শ্রমজীবীদের কোনো ধরনের হেনস্তা করা যাবে না।

আরএইচ