জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে এখন সারাদেশই করোনার হট স্পট হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সঙ্গে ভয়াবহভাবে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড ১ কোটি ২ লাখ ডোজ পেয়ে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষকে দেওয়া হয়েছে। ১৪ লাখ ৪০ হাজার মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পাননি। যারা দ্বিতীয় ডোজ পাননি, তাদের বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষ জানে না।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে, কমপক্ষে দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারলেই করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। সে অনুযায়ী ১৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছে শতকরা হিসাবে মাত্র ৩.৩০ শতাংশ।’

সরকারি সূত্র অনুযায়ী বর্তমানে বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রাপ্ত টিকার মজুদ মাত্র ৫৭ লাখ উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘এটি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার সরকারিভাবে বলা হয়েছে প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এতে প্রয়োজনীয় জনগোষ্ঠীকে এক ডোজ করে টিকা দিতে ৪ থেকে ৫ বছর সময় লেগে যাবে। দুই ডোজ করে দিতে গেলে এর প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগবে। সেটাও সম্ভব হবে যদি সময় মতো বাকি টিকাগুলো পাওয়া যায়।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে করোনা দেশকে কোনো অবর্ণনীয় ভয়াবহতার দিকে নিয়ে যাবে। সে বিষয়ে দেশবাসী উদ্বিগ্ন। মহামারি করোনার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুততার সঙ্গে গণটিকা কর্মসূচি আরও জোরালো করতে হবে।’

‘চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার টিকা নিলে আক্রান্তের হার যেমন কমে তেমনিভাবে কমে যায় আক্রান্তদের মৃত্যু ঝুঁকিও’- যোগ করেন জিএম কাদের।

এএইচআর/এমএইচএস