খালিদ সাইফুল্লাহ সাদী (বাঁয়ে) ও মোহাম্মদ উল্লাহ জামি

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করে আসা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের তিন কেন্দ্রীয় নেতা। গত রোববার (১৮ জুলাই) তারা জামিনে মুক্তি পান। 

এদিকে নেতাদের মুক্তির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হওয়ায় দ্রুতই দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করবে জমিয়ত। 

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রাতে ঢাকা পোস্টকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসূফী বলেন, আমরা আগে থেকে বুঝতে পেরেছি, ঈদের আগে-পরে নেতারা মুক্তি পাবেন। জোট ছাড়ার পর নেতাদের মুক্তি হয়েছে- এটা একটা কারণ হতেই পারে। আশা করি বাকিরাও মুক্তি পেয়ে যাবেন।

জমিয়তের একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার (১৮ জুলাই) জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ইসলামী বক্তা মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ সাদী, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ উল্লাহ জামি,  ছাত্র জমিয়তের নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন জামিনে মুক্তি পান। 

তবে জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মুঞ্জুরুল ইসলাম মুক্তি পাওয়ার কথা শোনা গেলেও তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে দলীয় একটি সূত্র। 

মাওলানা ইউসূফী বলেন, ‘ঈদের পরপরই দল গোছানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে দলকে গুছিয়ে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতিও আমরা শুরু করব।’

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। ওই দিন সংবাদ সম্মলনে জোট ছাড়ার কারণ প্রসঙ্গে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বলেন, জোটের শরিক দলের যথাযথ মূল্যায়ন না করা, পরামর্শ না করেই উপ-নির্বাচন এককভাবে বর্জন করা, আলেমদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ না করা, প্রয়াত জমিয়ত মহাসচিব নূর হোসেন কাসেমীর মৃত্যুতে বিএনপির পক্ষ থেকে সমবেদনা না জানানো এবং তার জানাজায় শরিক না হওয়া ইত্যাদি কারণে আমরা ২০ দলীয় জোটের প্রতি আর আস্থা রাখতে পারছি না।  সংবাদ সম্মেলনে জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা জিয়া উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর গত ১৮ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের প্রচণ্ড চাপে ২০ দলীয় জোট থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একাংশ চলে গেছে। 

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, রাজনীতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একাংশ টিকতে পারছে না। বিরোধী রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারছে না সে কারণে তারা চলে গেছে। এই কথা বললেই তো হয়, প্রচণ্ড চাপে আমরা টিকতে পারছি না, মামলা-মোকদ্দমায় ভীষণভাবে ব্যতিব্যস্ত হয়ে গেছি। সেটা না বলে কোনো ব্যক্তি বা দলকে দোষারোপ করা সঠিক কাজ নয়।

এএইচআর/এসকেডি