করোনা মহামারির মধ্যে আনন্দ বিহীন ঈদ কাটিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। বিগত তিন ঈদের মতো এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায়ের পর গৃহবন্দী থাকতে হয়েছে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেও স্বাভাবিক সময়ের মতো সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্ভব হয়ে ওঠেনি । 

আওয়ামী লীগের নেতাদের অধিকাংশই ঈদ করেছেন ঢাকায়। দুয়েকজন নির্বাচনী এলাকায় গেলেও স্বাস্থ্যবিধির মানতে হয়েছে তাদের। আবার কেউ কেউ জনসমাগমের আশঙ্কায় ইচ্ছে থাকলেও যাননি নির্বাচনী এলাকায়। 

তাদের ভাষায়, দলের নেতাকর্মীর ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে না পারলে ঈদের থাকে না।

করোনা মহামারির কারণে অডিও-ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগের ঈদগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য সকাল থেকেই উন্মুক্ত থাকতে। করোনা মহামারির কারণে এ নিয়ে গত চার ঈদে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বন্দী হয়ে পড়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে দলীয় সভাপতিকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ঈদ শুভেচ্ছা জানানো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। কেন্দ্রীয় নেতারা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। রাজনীতিবিদদের জন্য জনগণ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা ভীষণ পীড়াদায়ক। ঈদে সশরীরে জনগণের পাশে থাকতে না পারার এক ধরনের কষ্ট তো রয়েছেই। 

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, নেতাকর্মীর সঙ্গে সশরীরে মিশতে না পারা রাজনীতিবিদদের জন্য খুব কষ্টের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করেছে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে। আমরা সচেতন ও সতর্ক না হলে আমাদের যারা অনুসরণ করেন তারাও সচেতন হবেন না। 

তিনি বলেন, বাধ্য হয়েই মানুষের কল্যাণেই দূরে থেকে ঈদ উদযাপন করেছি ঠিকই। কিন্তু মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নেতাকর্মী-শুভাকাঙ্ক্ষী সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, রাজনীতিবিদদের জন্য জনগণ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা ভীষণ পীড়াদায়ক। জনগণের পাশে থাকতে না পারার কষ্ট রয়েছেই। তবুও মানুষকে সুস্থ রাখতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ উদযাপন করেছি। তবে মানসিক দূরত্ব ছিল না। বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে জনগণের কাছেই থেকেছি। 

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, আমি ঈদ করেছি আমার এলাকা জয়পুরহাটে। নামাজ পড়েছি ক্ষেতলাল সরকারি পাইলট স্কুল মাঠে। সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। মোবাইল ফোন, হোয়াটসঅ্যাপেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। 

এইউএ/ওএফ