৫৬ পৌরসভায় নৌকা চান তিন শতাধিক প্রার্থী, চূড়ান্ত সন্ধ্যায়
চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৫৬ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ থেকে তিনশ তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী নৌকা প্রতীক চান।
তবে কারা মনোনয়ন পাবেন বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দলটির স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তা চূড়ান্ত হবে।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানান, বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
গত ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার চতুর্থ ধাপে ৫৬ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বিতরণ শুরু করে। ৫ থেকে ১১ জানুয়ারি (সোমবার) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা পড়ে।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ২৫ পৌরসভায় দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ১০৫ জন। আগামী ১৬ জানুয়ারি হতে যাওয়া দ্বিতীয় ধাপের ৬১টি পৌরসভায় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ৩০৫ জন। ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তৃতীয় ধাপের ৬৪টি পৌরসভায় ৩৫২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। যেকোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার মতো একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকা স্বাভাবিক। সুতরাং মনোনয়নবঞ্চিতদের যোগ্যতা অনুযায়ী সাংগঠনিকভাবে মূল্যায়নের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে পৃথক মনোনয়ন বোর্ড রয়েছে। একটি স্থানীয় সরকার, অপরটি সংসদীয়। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃণমূল নেতাদের মতামত, সংশ্লিষ্ট জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সুপারিশ, সরকারি-বেসরকারি এবং দলীয় সার্ভে রিপোর্টের পাশাপাশি প্রার্থীদের যোগ্যতা, ত্যাগ ও জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
এ সময় দলের শৃঙ্খলা ও স্বার্থপরিপন্থী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলীয় কোনো কোনো দায়িত্বশীল নেতা ও জনপ্রতিনিধি বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইউএ/জেডএস