সরকারের ভ্যাকসিন সফলতায় আবোল-তাবোল বকছে বিএনপি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের সাফল্যে বিএনপির অস্থিরতা এবং মর্মযন্ত্রণা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ, তাইতো তারা আবোল-তাবোল বকছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মধ্য চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের পূর্ত কাজ দুটি বাস্তবায়নে এ চুক্তি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণটিকা কর্মসূচিতে জনগণের ব্যাপক সাড়া দেখে কাণ্ডজ্ঞানহীন সমালোচনা প্রকৃতপক্ষে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণহতাশার বহিঃপ্রকাশ। এ নিয়ে বিএনপি কর্মীদের চেয়ে তাদের নেতারাই বেশি হতাশাগ্রস্ত। গণটিকা লোক দেখানো নয়, ভ্যাকসিন গ্রহণে জনগণের স্বতঃস্ফুর্ততা বিএনপি নেতারা চোখ খুললেই দেখতে পাবে।
বিএনপিকে শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী রাজনীতি থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার ডিপ অ্যান্ড এবাইডিং কমিটমেন্ট থেকে বিএনপি চাইলে অনেক কিছুই শিখতে পারতো। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম সত্য হচ্ছে বিএনপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি। রক্তাক্ত ষড়যন্ত্রে বিএনপির অতীত কলংকিত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অল্পসময়ে ব্যবধানে সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন সংগ্রহে সফল হবে, বিএনপি ভাবতেই পারেনি। তারা ভেবেছিল টিকা পেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুদ নিয়ে সরকার সফলভাবে গণটিকা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ায় বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। তারা অন্তর্দহনে দগ্ধ হচ্ছে। এমনিতেই আগস্ট মাস এলে বিএনপির অতীতের রক্তাক্ত বিশ্বাসঘাতকতার অন্তর্জালায় ভোগে।
তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা কখনো করে না, করবেও না। বরং বিএনপির দলীয় প্রধানের একাধিক ভূয়া জন্মদিন পালন করে নিজেরাই এখন জনগণের কাছে প্রতারক হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, জনগণের প্রতি বিএনপির যদি ন্যূনতম দায়িত্ববোধ থাকতো তাহলে অন্তত টিকাদানের সময় সরকারের সমালোচনা বন্ধ করে মানুষের পাশে দাঁড়াতো। অবশ্য তাদের অব্যাহত মিথ্যাচার আর জনবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে জনরোষের স্বীকার হওয়ার আশঙ্কা থেকেই নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, রাজনীতি মানে সবকিছু নিয়ে মিথ্যাচার নয়, অন্ধ সমালোচনা নয়। অকপটে সত্য উচ্চারণের সাহস রাজনৈতিক দলের থাকতে হয় কিন্তু বিএনপি অব্যাহত মিথ্যাচার চর্চায় সেটিও হারিয়ে ফেলছে।
অর্ধেক বাস চলাচল নিয়ে প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
মোট সংখ্যার অর্ধেক বাস চলাচলের বিষয়ে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমাদের মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটু আলোচনা করে নিলে ভালো হতো। কারণ অর্ধেক গাড়ি চলবে, আর অর্ধেক চলবে না এটা নিশ্চয়তা কে দেবে? এটা ঠিকমতো হবে কি-না।
তিনি বলেন, আগে আলাপ করলে আমরা আমাদের মতামত দিতাম। বিষয়টি এখন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। তারা যদি সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারে ভালো কথা। এটা আমাদের এখতিয়ার নয়।
মন্ত্রী বলেন, আমরা পরিবহনে যেটা দেখবো। সেটা হলও গণপরিবহনে যত সিট তত যাত্রী কিনা? ঠিকমতো মাস্ক পরছে কি-না এবং ভাড়াটা ঠিকমতে নিচ্ছে কি-না। এসব বিষয়গুলো দেখবো। আর গাড়ি যাত্রার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, জীবাণুমুক্ত ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা। এগুলো আমাদের দেখার বিষয়। এটা বিআরটিএ থেকে আমরা দেখবো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১১ তারিখ থেকে আমাদের গণ-পরিবহন চালু হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যত সিট তত যাত্রী। পূর্বের ভাড়ায় গণ পরিবহন চলাচল করবে। এ জন্য মালিক, শ্রমিকসহ সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
এইউএ/এসএম