ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বেশ আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে বিভিন্ন প্রশ্ন রেখেছেন।

বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত ৭টা ৪৯ মিনিটে দেওয়া স্ট্যাটাসে আশরাফুল আলম খোকন লিখেছেন, ‘আমি বুঝলাম না আসিফ নজরুলের বক্তব্যের বিরোধিতা আমাদের লোকজন কেন করছে। কেন এতো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তিনি আইনের শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, এরপর আবার বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী। তিনি তো সত্যিই বলেছেন। ক্ষমতা পরিবর্তন হয়ে জামাত-বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিমানবন্দরের অবস্থা আফগানিস্তানের মতো হতেই পারে। কারণ বিএনপি-জামাত মানেই তো তালেবানের মতো জঙ্গিদের শাসন। জঙ্গিদের দেখলে সবাই পালায়।’

আশরাফুল আলম খোকন লিখেছেন, ’তিনি মিথ্যা বলেছেন কি? জঙ্গিবাদকে সবাই ভয় পায়। ওই অসভ্য জঙ্গিদের শাসনে কোনো সভ্যরা থাকতে পারে না। যেমন, কাবুলের সাধারণ লোকজন জঙ্গি তালেবানদের ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। অসভ্য জঙ্গিদের দেখে সাধারণ মানুষ আসলেই পালতে পারে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা পালাবেন না। কারণ তারা যুদ্ধ করতে জানে, তারা তালেবানদের বাপ পাকিস্তানি হানাদারদের ঝেটিয়ে এদেশ থেকে বিদায় করেছে।’ 

আওয়ামী লীগ কর্মীরা দেশ ছাড়বে কেন? এরকম প্রশ্ন রেখে খোকন আরও লিখেছেন, ’আওয়ামী লীগ সরকার কি বিএনপি-জামাতের ২৪ হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করেছে? যা বিএনপি-জামাত ৫ বছরের শাসনামলেই করেছিল। আওয়ামী লীগ কি এদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে? যা বিএনপি-জামাত সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে করেছিল। আওয়ামী লীগ কি ২১ আগস্টের মতো নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে? যা বিএনপি-জামাত রাষ্ট্রীয়ভাবে করেছিল।’

খোকন লিখেছেন, ’আওয়ামী লীগ  কি এদেশকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে? যা বিএনপি-জামাতের সরকারের সময় হয়েছিল। আওয়ামী লীগ  কি হাওয়া ভবন বানিয়ে বিকল্প সরকার তৈরি করেছে? চাইলে এমন আরও অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যাবে…।’

’এই দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যা কিছু কল্যাণকর তা আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারই করেছে। তারা বিমানবন্দরে জড়ো হবে না। সব সময় নিজের দলকে দিয়ে অন্যদের বিচার করা উচিত না।’

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর গত ১৬ আগস্ট অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কাবুল বিমানবন্দর ধরনের দৃশ্য বাংলাদেশেও হতে পারে।’ মূলত এ স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশসহ বিভিন্ন মহলে নিন্দা চলছে।

এইউএ/এসএম