পৌর নির্বাচনেও কেন্দ্র আ. লীগের দখলে অভিযোগ বিএনপির

জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌর নির্বাচনেও ভোটকেন্দ্র ক্ষমতাসীনদের দখলেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকালে থেকেই আমাদের পোলিং এজেন্টদের সেন্টারে যেতে দেয়নি। অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট গেলেও তাদের বের করে দিয়েছে। এমনকি বিএনপি সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রের কাছেও যেতে দিচ্ছে না।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের দলীয় কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা। মুক্তিযুদ্ধের রজতজয়ন্তী উদযাপনে সম্মাননা বিষয়ক উপ-কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, আজ দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে ৬০টি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৯টি পৌরসভায় ইভিএমে এবং ৩১টিতে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা চলছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ক্ষমতাসীন দল কাদের সমর্থন পাচ্ছে? প্রশাসনের। তারা গায়ের জোরে ভোটকেন্দ্র দখল করেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌর নির্বাচনেও তারা একই ধরনের কাজ করছে। তারা বলে, এমপি যদি আমরা এভাবে বানাতে পারি, তাহলে মেয়র হবো না কেনো?

নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রের অবস্থা কী তা আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু কিছু মুখ খুলতে শুরু করেছে। ‘সত্যিকার ভোট হইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দরজা ঠুয়াই পাইবো না’, দরজা নাকি খুঁজে পাবে না-এটা তো আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মুখ থেকে আসছে। আসল চিত্রও তাই।

ইভিএমে ভোটগ্রহণে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এমনিতেই মানুষ ভোট দিতে পারে না। এখন আবার মেশিনে ভোট। এ মেশিনে ভোটে দুরভিসন্ধি আছে।

ব্যারিস্টার অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমরের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা শাহ মো. আবু জাফর প্রমুখ।

এএইচআর/এমএইচএস