আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাতব্বর নেতাকর্মীসহ নানকের সঙ্গে দেখা করতে তার ৯/এ, ধানমন্ডি কার্যালয়ে গেলে, সেখানে উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি সোহেল আহমেদের গ্রুপের নেতাকর্মীর সঙ্গে দাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সেলিম মাতব্বর অভিযোগ করেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বায়েজিদ আহমেদের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। যুবলীগ নেতা সোহেল বায়েজিদের বড় ভাই।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাতব্বর বলেন, আমরা কয়েকজন নেতাকর্মী ধানমণ্ডিতে নানক ভাইয়ের কার্যালয়ে সাক্ষাত করতে গেলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা বায়েজিদ গ্রুপের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। 

তিনি বলেন, বায়েজিদের অনুসারীরা আমার মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আমাকেও মারধর করে। আমিসহ আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হন। আমরা উপজেলা ছাত্রলীগসহ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। 

সেলিম মাতব্বর বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে নানক ভাইকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদেরকে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আমরা তা প্রস্তুত করছি। আমরা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ভাইয়ের সঙ্গেও দেখা করি। তিনিও লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বায়েজিদ আহমেদ বলেন, আমি এ ঘটনা শুনেছি। তবে আমার নেতাকর্মী নয়, আমার বড় ভাই সোহেল আহমেদ ও তার অনুসারীদের সঙ্গে নানক ভাইয়ের অফিসে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। শুনেছি, আমার ভাই সেখানে ছিলেন। বিষয়টিতে আমাকে জড়ানো হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। 

এ প্রসঙ্গে জানতে জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত মোবাইলে কল দিলে তার ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান বিপ্লব বলেন, এখানে এ ধরণের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। 

এইউএ/ওএফ