স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হয়।‌

সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আমলে নেওয়ার বিষয়টি আসে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত মুলতবি সভায় অতীতে এসব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ এসেছিল কিনা তাও আমলে নেওয়া হয়।

এর আগে শুক্রবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ সংক্রান্ত ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এবারও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের ভবিষ্যতে কোনো পদ-পদবী ও মনোনয়ন দেওয়া হবে না। অনিয়ম করে যারা প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছে বা পাঠাবে তাদের বিরুদ্ধে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। প্রমাণ পাওয়া মাত্রই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত দুই দিনের সভায় আলোচনার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগ সব সময় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের রাজনৈতিক যোগ্যতা, দলীয় আনুগত্য, জনপ্রিয়তা-জনপ্রতিনিধি হওয়ার মতো সক্ষমতা, জনসস্পৃক্ততা কেমন ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আছে কিনা এগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। এসব দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করে দল থেকে প্রার্থীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের যেসব পদে দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে সেখানে নতুন করে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। অন্যান্য যোগ্যতা যাচাইয়ের পর যে প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতায় প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এইউএ/এমএইচএস