আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘আমরা যারা কেন্দ্রীয় নেতা বা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা হই কিংবা এমপি-মন্ত্রী হই, আমরা কখনো তৃণমূলের দিকে চোখ ফিরিয়ে তাকাই না। কখনো শিষ্টাচারও ভুলে যাই। সামান্য ভদ্রতাও ভুলে যাই। দলের কর্মীদের সালাম নিতে আমাদের কষ্ট হয়।

শনিবার ( ৯ অক্টোবর) চট্টগ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনো সুন্দরী বালিকা এসে সেলফি তুলতে চাইলে আমরা দাঁত কেলিয়ে সেলফি তুলি । কিন্তু একজন রাজনৈতিক কর্মী আমাদের সালাম দিলে তার সালাম গ্রহণ করার সময় আমাদের হয় না । এই যে রাজনীতির বিপর্যয়, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার যে বিপর্যয়, এই বিপর্যয় কখনো আতাউর রহমান কায়সার ভাইদের স্পর্শ করেনি।’

তিনি বলেন, আতাউর রহমান খান কায়সার জীবিত থাকতে তার মাঝে অহংকার দেখিনি। রাজনৈতিক কর্মীদের প্রতি তার মমত্ববোধ, তার অগাধ ভালবাসা ছিল।

স্বপন বলেন , আতাউর রহমান কায়সার জিয়াউর রহমানের মন্ত্রী হতে পারতেন । এরশাদের মন্ত্রী হতে পারতেন। তারা কখনো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। তারা কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেননি। ওয়ান ইলেভেনের সময় অনেকে যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে শেখ হাসিনাকে কারাগারের অভ্যন্তরে রেখে মাইনাস ওয়ান ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। তখন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে আতাউর রহমান কায়সার সর্বপ্রথম সুধাসদনে নেত্রীর সঙ্গে সভা করে রাস্তায় গিয়ে নেত্রীর পক্ষে সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। ওই কারণে তিনি দেশের নেতাকর্মীদের কাছে নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধের প্রতীক হিসেবে আমাদের কাছে সারাজীবন প্রিয় থাকবেন।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

কেএম/ওএফ