বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন দাবি করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, কিন্তু এই সরকার সেটা দেবে না। তাকে (খালেদা জিয়া) তিলে তিলে মেরে ফেলাই সরকারের লক্ষ্য।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় এক দোয়া মাহফিলে এ দাবি করেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল।

মির্জা আব্বাস বলেন, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই মাত্র ২ কোটি টাকার একটি মিথ্যা মামলায় আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দেশবাসী জানে ট্রাস্টের সেই দুই কোটি টাকা ব্যাংকে এখন ৮ কোটি টাকা হয়ে গেছে। সেই টাকা তিনি নিজেও খাননি, বিদেশেও পাচার করেননি। অথচ আজকে সরকারের হাজার-হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ছে। এক মন্ত্রী বলছেন- চার হাজার কোটি টাকা নাকি কোনো বিষয় না। আর সে জায়গায় মাত্র ২ কোটি টাকার জন্য দেশনেত্রী জেল খাটবেন, এটা কোনো কথা হতে পারে না। আসল কথা হলো উনাকে আটকে রেখে তিলে তিলে হত্যা করা। এটাই হচ্ছে এই সরকারের পরিকল্পনা। 

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বহু নোংরামিপন্থা অবলম্বন করেছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অনেক খুন, গুম করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে কারাগার ভরে ফেলেছে। কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে বিএনপির লোক ছাড়া কাউকে দেখা যায় না। আসলে দেশে কোনো বিচার ব্যবস্থা নেই। আছে শুধু পুলিশ, আছে শুধু কোর্ট। আর এগুলো দিয়েই সরকার টিকে আছে।

আওয়ামী লীগের নেতাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে যারা লম্বা-লম্বা কথা বলেন তাদেরকে চিনতে গেলে সার্চলাইট দিয়ে খুঁজতে হয় এরা কারা। সাহস থাকলে আমাদের সঙ্গে একটু হাঁটুন। আমরা পাহারা দেব। দেখি আমাদের কতজন লোক ফুল দেয় আর কতজন থুতু ফেলে। সেই সাহস আপনাদের হবে না। তারা পারে শুধু কাচের ঘরে বন্দি হয়ে লম্বা কথা বলতে আর বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার করতে।   

মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির সরকারের সময় বাংলাদেশে ৫০ হাজার পুলিশ ছিল। এখন সেটা ৫ লাখ হয়েছে। কিন্তু এই বিশাল পুলিশবাহিনী দিয়ে যদি ব্যাংক লুটেরাদের ধরা না যায়, খুনি ধরা না যায়, পূজামণ্ডপ ভাঙার লোক ধরা না যায় তাহলে তাদের কাজ কি? বিএনপিকে ঠেকানো? এটা বোধ হয় আর বেশিদিন চলবে না। কারণ সবছুই প্রতিরোধ হয়।

মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে সভায়  বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবেক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী প্রমুখ।
 
এএইচআর/জেডএস