রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী

কুমিল্লার ঘটনায় বিএনপি জামায়াতসহ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যুক্ত রয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

তিনি বলেছেন, কুমিল্লায় ঘটনা ঘটিয়ে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। এর পেছনে বিএনপি-জামায়াতসহ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যুক্ত। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার সেই বিশৃঙ্খলা কঠোর হস্তে দমন করেছে।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, যারা বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত ছিল বা আছে, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়েছে কিংবা চালাচ্ছে- সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তার বক্তব্যে দেশের মানুষও হাসে, হনুমানও হাসে। সরকার নাকি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে- তিনি এমন বক্তব্য রেখেছেন। তার এ বক্তব্যে প্রমাণিত হয় কুমিল্লার ঘটনার পেছনে তাদের ইন্ধন ছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশ চালায়, সরকার সবসময় চায় দেশে শান্তি-শৃঙ্খলার স্থিতি থাকুক। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কি বাংলাদেশের সব মানুষকে বোকা ভেবেছেন? তিনি মনে করেছেন, এ কথা বলে বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানাবেন।

তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় কারা মিছিল বের করেছে, সেই ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। তারা কোন দলের সমর্থক, তারা কোন মতাদর্শে বিশ্বাস করেন, সেসব বের করে জনসমক্ষে আমরা প্রকাশ করব। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা কোনোভাবেই বিনষ্ট হতে দেব না।

এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সবসময় সর্তক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। ছাত্রলীগের তরুণ ভাই-বোনদের বিনয়ী হতে হবে। কারণ ঔদ্ধত্য কেউ পছন্দ করে না। পাশাপাশি লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে হবে। লেখাপড়া বাদ দিয়ে শুধু ছাত্রলীগের কাজ করার প্রয়োজন নেই।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল গুপ্তের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

কেএম/আরএইচ