বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে বিভাজন সৃষ্টি করছে। বিভাজন সৃষ্টি করে সেটাকে আবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।

আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ফাউন্ডেশনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের দুর্ভাগ্য আমাদের, যে সরকার আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে আছে তারা আমাদের সব কিছু নষ্ট করে দিয়েছে। আমাদের অতীত নষ্ট করেছে, আমাদের সময় নষ্ট করছে, রাষ্ট্রকে ভেঙে খানখান করে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগকে আমরা জানি, চিনি এবং এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র। আওয়ামী লীগের এটা বোঝানোর কোনো সুযোগ নেই, আমরা গণতন্ত্র রক্ষা করছি। কারণ তারা ১৯৭৫ সালের নিজের হাতে গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছে। এখন আবার ২০০৮ সাল থেকে শেষ করছে।

মিডিয়া মালিকরা কোন না কোনভাবে সরকারের সঙ্গে জড়িত মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সমাজব্যবস্থা মুক্ত। সমাজ ব্যবস্থাকে তারা পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে। তারা কাউকে কথা বলতে দেয় না, লিখতে দেয় না। টেলিভিশনে হয়তো তারা কয়েক সেকেন্ড আমাদের নিউজ দেখাতে পারবে। পত্রিকায় কোথাও ছোট্ট করে একটা কলাম আসবে। এটাতে তাদের দোষ নেই। আসলে তাদের মালিকানা বা ম্যানেজমেন্ট কোনো না কোনো ভাবে সরকারের সঙ্গে জড়িত আছে। ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে তাদের।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দমবন্ধ করা শ্বাসরুদ্ধ পরিবেশের বাংলাদেশ আমরা চাইনি। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম মুক্ত বাংলাদেশের জন্য। যতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এ দেশের মানুষ অনেক বেশি কষ্ট পাবে। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা হারিয়ে যাবে। তাই সকলের দায়িত্ব হচ্ছে এই ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করা। 

আলোচনায় বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতিবিদরা যেখানে ব্যর্থ সেখানে জিয়ার সফল উত্থান। তিনি জেনেশুনে আই রিভোল্ট বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের মধ্যে সবাইকে সম্পৃক্ত করেন। তিনি দেশের সমৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। আজ মানুষ না খেয়ে মরছে না বলা হয়। তবে গুম হয়ে মরে ঠিকই।

তিনি বলেন, জিয়া ছিলেন জনগণের। তার সততা, দেশপ্রেম, সাহসের সাথে কারো তুলনা হয় না। তিনি দেশে একটা জাগরণ তৈরি করেছিলেন। তার নেতৃত্বে দেশবাসী জেগে উঠেছিল। দেশের সকল উন্নয়ন প্রকল্পে জনগণকে সম্পৃক্ত করেছিলেন তিনি।

আলোচনায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে বিভিন্ন পেশাজীবী নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/এনএফ