করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন চরম সংকটে পড়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ। 

দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, এই অবস্থায় সরকারের ব্যর্থতায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির চিন্তা জনগনকে আরও চাপে ফেলবে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করুন।

আজ (শুক্রবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। 

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম কিছুতেই টেনে ধরতে পারছে না সরকার বলে দাবি করে ন্যাপের নেতারা বলেন, অন্যদিকে সরকারের খাদ্যমন্ত্রী জনগনকে ভাত কম খাবার উপদেশ দিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করছেন। যা অত্যন্ত হাস্যকর। চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দা, পেঁয়াজ ও আলুর মূল্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেও সেখানেও স্বস্তি নেই।

নেতারা বলেন, জীবন চালাতে ধার-কর্য করছে প্রতিনিয়ত নিম্নমধ্যবিত্তরা। এমন অবস্থায় তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে তেল পাচারের শঙ্কার অজুহাতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সরকারি চিন্তা জনবিরোধী। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হলে জনজীবনে মারাত্মক চাপ পড়বে।  

ন্যাপের নেতারা বলেন, মহামারি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে টানা লকডাউনে কাজ হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ। বেশিরভাগ কর্মজীবীর আয় কমেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রায় সব মানুষেরই নাভিশ্বাস উঠেছে জীবন চালাতে। সংসার চালাতে না পেরে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। তাই নিত্যপণ্যের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবন চরম সংকটে পড়বে। এরমধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মতো জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

এএইচআর/এনএফ