লুটের টাকা যোগান দেওয়াই সরকারের প্রধান কাজে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, করোনার সময় মানুষের কাজ নাই, নতুন নতুন বিনিয়োগ নাই, সরকারের এ বিষয়ে সামান্য চিন্তা নাই; তার উপর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে মানুষের ওপর স্টিমরোলার চালাচ্ছে।’

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ডিজেল কেরোসিনের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি ও বর্ধিত পরিবহন ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ঘরে বসে থেকেও এ দেশের মানুষ টের পাচ্ছেন, বাসে উঠে টের পাচ্ছেন, বাজারে গিয়ে টের পাচ্ছেন জীবনযাপনের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আজ বাংলাদেশে এমন একটি সরকার ক্ষমতায় আছে, যারা তথাকথিত উন্নয়নের নামে এমন সব বড় বড় প্রকল্প নিয়েছে। যার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করছে আর সেই টাকা যোগান দেওয়ার জন্য মানুষের পকেট কাটছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ আমরা দেখতে পেলাম ডিজেল-কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার এসব চালাতে পারছে কারণ জনগণকে তারা তোয়াক্কা করে না। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে জনগণকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের একমাত্র বাঁচার পথ জনগণের রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা এবং এ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটিয়ে একটি মানবিক মর্যাদার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।’

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের এ নেতা বলেন, ‘আসুন ছোট বড় সব দল শ্রেণি-পেশার মানুষ মিলে রাজপথে লড়াই সংগ্রামের এক কাফেলা গড়ে তুলি। এ ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মনির উদ্দীন পাপ্পু, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলকারনাইন ইমন, কেন্দ্রীয় সদস্য আলিফ দেওয়ান, সৈকত মল্লিক প্রমুখ।

এমএইচএন/এসএসএইচ