জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের বদলে রাজনীতির পরিবর্তন চায়। তাই সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে দেশের মানুষ অংশ নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষ জানে, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আরও বেড়ে যাবে। কারণ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে প্রেসিডিয়াম সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে এক বুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশে অনেক বেশি সুশাসন দিতে পারবে।

তিনি বলেন, দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ এতটাই ব্যস্ত যে রাজনীতির মাঠে তারা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে বিএনপি ইতোমধ্যেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে জাতীয় পার্টি অনেক সোচ্চার ভাবে সক্রিয় আছে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও জাতীয় পার্টি সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই নির্বাচনের মাঠে আছে। আমরা নির্বাচনে জয়ী হতেই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকছে।

জিএম কাদের বলেন, পল্লীবন্ধু দেশের ৯০ ভাগ মানুষের হৃদয়ের প্রত্যাশা পূরণ করতেই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে সব ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু কেউ যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করব।

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি জাতীয় পার্টির হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ কিছু করতে পারবে না।

সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু, সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, মসিউর রহমান রাঙ্গা, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি