তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় মনে হচ্ছে আইন-আদালত কোনো কিছুরই দরকার নেই। সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে  বিদেশে পাঠাতে পারে। আসলে নিজেরা তো কোনো আইন আদালত মানেন না, সেই কারণেই তারা এধরনের লাগামহীন ও দায়িত্বহীন কথা বলতে পারেন। 

তাহলে সরকারকে জজকোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকাও পালন করতে হবে কি না, প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।  

শনিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শঙ্করমঠ ও মিশনের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার পঞ্চম দিনের যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার একটি অসুখ হলেই বিদেশ কেন নিয়ে যেতে হবে? দেশে লাখ লাখ মানুষের চিকিৎসা হয়, বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ভালো প্রাইভেট হাসপাতাল আছে, যেখানে অনেক ভালো চিকিৎসা হয় এবং অন্যদেশ থেকেও এখানে অনেকক্ষেত্রে চিকিৎসা নিতে আসে। খালেদা জিয়ার পেটে-হাঁটুতে বা অন্যকোনো সমস্যা হলেই বিদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা জিকির তোলেন কেন, সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। আইনমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন, আইনানুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, এভাবে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলার মাধ্যমে তারা আমাদের চিকিৎসক এবং আমাদের হাসপাতালগুলোকে অবজ্ঞা করছেন। বিশেষ করে চিকিৎসকদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছেন। আর মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে মনে হচ্ছে আইন আদালত কোনো কিছুর দরকার নেই। সরকারকে হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট সবকিছুর ভূমিকা পালন করতে হবে। যেটি কখনো সম্ভব নয় এবং সমীচীন নয়।

তিনি বলেন, দুর্গাপূজার সময় যারা দেশে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছে এরা স্বাধীনতার শত্রু, এদের পূর্ব পুরুষ আমাদের স্বাধীনতা চায়নি, এরা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এরা এখনো পাকিস্তানি ভাবধারা মনে ধারণ করে, এরা দেশের শত্রু, এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।

শ্রীমৎ তপনানন্দ গিরি মহারাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শ্রীমৎ পরমানন্দ মহারাজ। বক্তব্য রাখেন বিমল কান্তি দাশ, কাউন্সিলর শফিউল আলম মুরাদ, দুলাল দে প্রমুখ।
  
কেএম/জেডএস