আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কেউ মারা গেলে এর দায় সরকারের ওপর ফেলে দেবেন, এটা ঠিক নয়। মানুষের বেঁচে থাকার একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। অসুস্থ হয়ে অনেকেই মারা যায়। কিন্তু কথায় কথায় সরকারের ওপর দায় চাপাবেন, এটা ঠিক নয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে। চিকিৎসা প্রয়োজন, সেটা করাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন, বিদেশ থেকে ভালো চিকিৎসক আনা দরকার হলে আনতে পারবে তারা (বিএনপি)। সরকার তো গলা টিপে মারছে না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী আদেশে যে মানবিক দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। এর তুলনা হয় না। এ জন্যই খালেদা জিয়া এখন বাসায়। কিন্তু বিএনপি নেতারা বলে থাকেন, এটা তাদের আন্দোলনের ফসল। আসলে বিএনপি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে যতটা না চিন্তিত, এর চেয়ে এটি নিয়ে রাজনীতি করছেন বেশি।
 
শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের আন্দোলন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন। বিভিন্ন জায়গায় তারা আজও অবরোধ করেছেন। আগামী শনিবার মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আবারও বসবে বিআরটিএ।

তিনি বলেন, বিআরটিসির বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। কিন্তু বিআরটিসি একা করলেই তো সমস্যার সমাধান হবে না। বেসরকারি পরিবহন মালিক সমিতিও একটি যৌক্তিক সমাধানের চিন্তা করবে আশা করি।

বর্ধিত বাস ভাড়া থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাসভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেল ঢাকা শহরের বাসগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে সরকারের ওপর সমালোচনার তির আসছে। 

তিনি বলেন, মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে সরকার ভাড়া বাড়িয়েছে, এসব কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। এখানে আমাদের ছোট করবেন না এবং জনগণের কাছে আপনারাও ছোট হবেন না। যারা সরকারের নির্দেশনা মানছে না তাদের অবশ্যই মানতে হবে। জনস্বার্থে আমাদের আরও কঠোর হতে হবে।

এমএসি/আরএইচ