শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহে গণঅধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালিতে নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।

এর প্রতিবাদে ঢাকায় রাত ৮টার দিকে পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে মশাল মিছিল হয়েছে। মিছিলটি পল্টন বিজয়নগর কালভার্ট রোড থেকে শুরু হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে প্রেসক্লাবে হয়ে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, দল ও সরকারের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যে কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিংয়ে বাধা না দিতে প্রধানমন্ত্রীর নিষেধ সত্ত্বেও আজ ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর বর্বর হামলা করেছে। হামলায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এছাড়া হামলাকারীরা কয়েকজনের মোবাইল, মানিব্যাগ ও একটি ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আগে টাঙ্গাইলে ভাসানীর মাজারে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। হামলা-মামলা করে তারুণ্যের জাগরণ থামানো যাবে না। তারুণ্যের যে জাগরণ শুরু হয়েছে তা বিনা ভোটের স্বৈরাচার সরকারের পতন না ঘটিয়ে থামবে না।

পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তার দলের নেতা, পাতিনেতারাও মানে না। যা প্রমাণ করে সরকার দেশের ১৮ কোটি মানুষের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম নয়। তাই জনগণকে আমরা আহ্বান জানাব, দেশ ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিতে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে আপনারা স্বৈরাচার পতনে সংঘটিত হন।

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। মোদিবিরোধী আন্দোলনে জেলে গিয়ে রিমান্ডে গিয়ে বুঝেছি দেশ পরিচালিত হয় অন্য জায়গা থেকে। তাই দেশ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। শিক্ষার্থীদের চলমান হাফ পাশ ও নিরাপদ সড়কের দাবি মেনে নিতে হবে, না হলে ছাত্র অধিকার পরিষদ সারা দেশের ছাত্রদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

এইচআর/এসএসএইচ