বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় রায়কে ‘ছাত্রলীগের জন্য সতর্কবার্তা’ হিসেবে দেখছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা।

বুধবার রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, এ রায়ের ফলে আবরারের পরিবার ন্যায়বিচার পেয়ে শান্ত হলো। সঙ্গে সঙ্গে গেস্টরুম নামক নৃশংস ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্তমূলক বিচার প্রতিস্থাপিত হলো। আশা করছি, ‘গেস্টরুম’ সংস্কৃতি লালনকারী সংগঠনগুলো বিশেষত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ রায়কে সতর্কবার্তা হিসেবে নিতে পারবে।

তারা বলেন, রায় ঘোষণা হলেও এর বাস্তবায়ন নিয়ে আমরা শঙ্কিত। কারণ ইতোপূর্বে বিশ্বজিৎ হত্যার রায়  দেওয়া ও বাস্তবায়নে গড়িমসির ঘটনা আমরা দেখেছি। বিশ্বজিত ও আবরার হত্যায় ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরাই জড়িত। দেশে আইনের শাসন রয়েছে এবং বিচার বিভাগ স্বাধীন, এ দুইটি কথা বাস্তব প্রমাণ করার দায়িত্ব আদালতের। তাই আমরা চাই, দীর্ঘসূত্রতার নিচে ফেলে এ রায়কে যেন জনতুষ্টিমূলক আইওয়াশ রায়ে পরিণত না করা হয়। 

তারা আরও বলেন, বিশ্বজিৎ ও আবরার হত্যার রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, হয় ছাত্রলীগ খুনি তৈরি করে, না হয় খুনিরা ছাত্রলীগে আশ্রয় নেয়। সাধারণ ছাত্ররা এ সংগঠনকে বয়কট করবে। এ সময় তারা রায় বাস্তবায়ন পর্যন্ত ইস্যুটির প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।

এর আগে দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত আলোচিত আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন।  

এইচআর/আরএইচ