বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জনগণ বেরিয়ে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ আরও বেশি বেরিয়ে আসবে। এর মাধ্যমে নিঃসন্দেহে আমরা একটি আন্দোলন করতে পারব। যে আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এ সরকারকে বাধ্য করতে পারব বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে।’

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আয়োজিত এক পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধুমাত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আন্দোলন নয়, আন্দোলন হবে জাতির মুক্তির জন্যও। আমাদের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের স্বপ্নগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই কারণে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য তৈরি করে একটি দুর্বার আন্দোলন গড়তে হবে। যার মাধ্যমে এ ফ্যাসিস্ট, ভয়াবহ ও দানবীয় আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করতে পারব। তাদের আমরা বাধ্য করব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি তার চিকিৎসা ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার আদেশ দিয়েছেন তাকে (খালেদা জিয়া) শর্তসাপেক্ষে বাসায় থেকে চিকিৎসা করতে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, এইটা সম্পূর্ণভাবে তাদের বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যে ভয়, যদি তিনি সুস্থ হয়ে বেরিয়ে আসেন তাহলে তাদের তক্ত তাউস খান খান হয়ে ভেঙে যাবে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি এতই অসুস্থ যে ডাক্তাররা বলছেন তিনি জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে। তারা বলছেন এখন তার চিকিৎসা করতে পারলে আল্লাহ তাকে ফিরিয়ে দিতে পারেন। সেই চিকিৎসা এ দেশে নেই। তাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। কিন্তু এ সরকার যাদের সাথে জনগণের সম্পর্ক নেই, যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তারা তাকে বাইরে যেতে দিতে চায় না।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, বিএনপি ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএইচএস/এসএসএইচ