বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এই মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। তবে কী মতামত দিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি আইনমন্ত্রী। এটি যেহেতু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যায় পর্যন্ত যাবে, তাই এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে চাননি তিনি। 

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সেই মতামত জানানো সমীচীন হবে না। কারণ সেটা গোপন বিষয়। এটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত যাবে। তারপর বলা সম্ভব হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মতামত দিয়েছি, এখন এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানিয়ে দিয়েছি ফাইলটি ওনার কাছে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল যাওয়ার পর আপনারা সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।’

গত শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতির বিষয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখি, তারপর আমার যে ব্যাখ্যা তা আপনারা জানতে পারবেন। এ নিয়ে অস্থির হওয়ার কিছু নেই।

গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। টানা ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন তিনি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ বছরের ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। তখন ৫৪ দিন হাসপাতালে থাকতে হয় তাকে।

সূত্র : বাসস

জেডএস