নয়াদিল্লিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
যথাযথ মর্যাদায় ভারতের নয়াদিল্লীর বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (২৬ মার্চ) দূতাবাস চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। এ সময় পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত।
দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত দূতাবাস কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল শ্রদ্ধা জানান। একইসঙ্গে দূতাবাসের কর্মকর্তারাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও দূতাবাসের কর্মচারীরা আলাদাভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বিজ্ঞাপন
পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। সভায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের উপ হাই কমিশনার মো. নুরল ইসলাম ও মিনিস্টার (বাণিজ্য) ড. এ কে এম আতিকুল হক।
এছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। আলোচনায় অংশ নেন মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ।
বিজ্ঞাপন
হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান তার বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে ও আপোষহীন সংগ্রামের ফল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু।’
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনের ইতিহাস, ৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন এবং মুক্তি সংগ্রামে ৬ দফার গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হতে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সব সদস্য ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
এমএইচএস