অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কমিউনিটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন কানাডার মূলধারায় বাংলাদেশিদের অবস্থান সুসংহত করতে রাজনীতিতে বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের প্রতিনিধিত্বের বিকল্প নেই।

কানাডার বাংলা পত্রিকা ‘নতুনদেশ’ এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের সঞ্চালনায় শ্ওগাত আলী সাগর লাইভের আলোচনায় তারা এই আহ্বান জানান। আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম বিশ্লেষক সৈকত রুশদী, প্রোগ্রেসিভ অ্যাকশন ফর কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক ইমামুল হক। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, প্রধান রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া বাংলাদেশি কানাডিয়ান প্রার্থীরা ইতোমধ্যে তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। আমাদের উচিত এই যোগ্য প্রার্থীদের বিজয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখা।

প্রসঙ্গত, আগামী ২ জুন অনুষ্ঠিতব্য অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে এনডিপির মনোনয়নে স্কারবোরো সাউথওয়েষ্ট আসনে ডলি বেগম এবং ইটোবিকো-লেকশোর আসনে ফারহিন আলিম এবং লিবারেল পার্টির মনোনয়নে ওকভিল নর্থ – বারলিংটন থেকে কানিজ মৌলী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। কানাডায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ডলি বেগম দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন। 

আলোচনায় অংশ নিয়ে গণমাধ্যম বিশ্লেষক সৈকত রুশদী মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের বেশি বেশি অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্কারবোরোর প্রায় প্রতিটি রাইডিংয়ে শ্রীলঙ্কান কানাডিয়ানদের প্রার্থী আছে। অথচ পুরো প্রভিন্সে বাংলাদেশি কমিউনিটির মাত্র তিনজন প্রার্থী।
তিনি বলেন, কেবল প্রার্থী হওয়াটাই বড় কথা নয়, নিজেদের যোগ্য করে তুলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে হবে। আর যোগ্য হয়ে ওঠার জন্য প্রস্তুতি দরকার, কাজ করা দরকার। স্কুল, কমিউনিটি পর্যায়ে কাজ করে নিজেদের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্য করে তুলতে হবে। 

আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশি কানাডিয়ান প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে কমিউনিটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে সৈকত রুশদী বলেন, যারা অন্য নির্বাচনী এলাকায় বসবাস করেন তারাও বাংলাদেশি কানাডিয়ান প্রার্থীদের পক্ষে ভূমিকা রাখতে পারেন। বাংলাদেশি কমিউনিটির স্বার্থেই প্রভিন্সিয়াল সংসদে বাংলাদেশি কানাডিয়ান প্রতিনিধি থাকা দরকার বলে তিনি মত দেন। 

কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্ট সংগঠক ইমামুল হক ২০১৫ সালে পরিচালিত তাদের সংস্থার একটি সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন সেই সময় মূলধারার রাজনীতির ব্যাপারে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে ডলি বেগম প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পর বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের মধ্যে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতি এবং নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহ অনেক বেড়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণ-তরুণীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। 

শওগাত আলী সাগর আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি কানাডিয়ান তিন প্রার্থীই যোগ্য এবং দক্ষ। ডলি বেগমের কর্মতৎপরতা কানাডার মূলধারার মিডিয়ায় সবসময়ই দৃশ্যমান ছিল। প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে তিনি নিজেকে ইমিগ্র্যান্ট’স ভয়েস’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। 

এনএফ