পর্তুগাল সফরে রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। সফরকালে তিনি দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়সহ অভিবাসন, শিক্ষার্থীদের ভিসা জটিলতার অবসান এবং বাংলাদেশে পর্তুগিজ দূতাবাস বা কনস্যুলার সেবা চালু করার বিষয়ে জোরালো আহ্বান জানান।

সফরের প্রথম দিনে বুধবার (২৫ মে) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পর্তুগিজ সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট আডাও জোযে ফনসেকার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকে দুপক্ষের সংসদীয় কমিটির সঙ্গে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশে দূতাবাস বা কনস্যুলেট সেবা চালু এবং শিক্ষার্থীদের সুযোগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

সফরের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পর্তুগালের সমুদ্র সম্পদ মন্ত্রী ড. আন্তোনিও কস্তা সিলভার সঙ্গে পরিবেশ বিপর্যয় এবং সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় দ্বিপাক্ষিকভাবে কাজ করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। পর্তুগাল এবং বাংলাদেশ ভৌগলিক অবস্থান থেকে উপকূলবর্তী হওয়ায় বিষয়টি দুটি দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

তাছাড়া রাজধানী লিসবনের মাকাউ কালচারাল সেন্টারে সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ফ্রান্সিস্কো আন্ড্রে, পর্তুগালে বাংলাদেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি পর্তুগিজ গবেষক জোসেফ মাপরিল, পর্তুগালে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারিক আহসানসহ দ্বিপাক্ষিক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

ওই সেমিনারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্জন সবার সামনে তুলে ধরেন। একইসঙ্গে দুদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ইতিবাচক মনোভাব উপস্থাপন করেন। পর্তুগিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং এশিয়া বিষয়ক পরিচালক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এ সফরকে একটি মাইলফলক ও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেন এবং পর্তুগিজ সরকারের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্তুগাল সরকার বাংলাদেশের উন্নতি প্রত্যক্ষভাবে খেয়াল করছে এবং বিষয়টি আমাদের বিভিন্ন বৈঠকে তারা আমাদের জানিয়েছেন এবং আজকের সেমিনারে আপনারা পর্তুগালের পররাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য থেকে তা জানতে পেরেছেন। আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্কের বিষয়গুলো নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন এবং আমাদের মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। পর্তুগালকে ঋণাত্মক জনসংখ্যার দেশ হিসেবে অভিবাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বুধবার রাষ্ট্রীয় সফরে পর্তুগালে পৌঁছান। এটি পর্তুগাল এবং বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। সফরকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (২৭ মে) লিসবনে বাংলাদেশের স্থায়ী দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং পর্তুগালে স্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এসএসএইচ