কানাডার ক্যালগেরির ম্যাগনোলিয়া ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী উৎসব ও ঈদ পুনর্মিলনী। ঈদের আনন্দ ও বাঙালির চিরাচরিত আড্ডাকে ধরে রাখতে প্রবাসী বাঙালিদের এ অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— শুভ মজুমদার, আবদুস সামাদ সুমন, কাজী জুনায়েদ হোসেন, ইশতিয়াক আহম্মেদ, ইরফান সরদার, মারুফ হক, নাইমুল হক লিটন, এএনএম সামস্ সজীব, রিসাদ জামান, শিহাবুল ইসলাম, তানভীর জয়, গোলাম খায়রুল বাসার ও শুভ্র দাস।

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মতরে আবহমান বাংলার কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠানে বিখ্যাত ব্যান্ড দল ফিডব্যাকের লিড ভোকালিস্ট শাহনুর রহমান লুমিন প্রবাসের মাটিতে তুলে ধরেন আশি ও নব্বই দশকের সব বিখ্যাত গান। অন্যদিকে ফোক খ্যাত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পিন্টু ঘোষও তুলে ধরেন আবহমান বাংলার জনপ্রিয় গানগুলো, যা প্রবাসীদের নিয়ে যায় শৈশবের বাংলাদেশে।

ক্যালগেরির ম্যাগনোলিয়া ব্যাংকুয়েট হল নারী-পুরুষের পদচারণায় ছিল মুখরিত। কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিল অন্যরকম এক মিলনমেলায়। বৈশাখের রঙ, ভালোবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে।

সংগঠক শুভ্র দাস বলেন, আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, আমাদের সংস্কৃতির রয়েছে নিজস্ব বলয় যা অন্য কোথাও নেই, আর তাই তো প্রবাসে থাকলেও আমাদের মন পড়ে থাকে বাংলাদেশের মাটিতে।

সংগঠক শুভ মজুমদার জানান, আমরা আশা করি এই অনুষ্ঠান প্রবাস জীবনে আমাদের সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।

সংগঠক গোলাম খায়রুল বাসার জানান, আমাদের গ্রাম বাংলার সেই ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

সংগঠক কাজী জুনায়েদ হোসেন বলেন, করোনামুক্ত হয়ে সারাবিশ্ব যেন নতুন করে জেগে উঠেছে, আমরা সবাই একত্রিত হয়ে বাংলার ঐতিহ্যের গান আর হারানো দিনে ফিরে গিয়েছিলাম।

আরেক সংগঠক শিহাবুল ইসলাম বলেন, অনেক ভালো লাগছে, প্রবাসের মাটিতে আশি আর নব্বই দশকের গানগুলো শুনে। দেশকে খুব মিস করি।

অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিল চ্যানেল আই এবং আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল প্রবাস বাংলা ভয়েস। প্রবাস জীবনে বাঙালিদের মধ্যে এমন আয়োজন মনের খোরাক ও নির্মল আনন্দ দিতে শতভাগ সফল বলে মনে করছেন আয়োজকরা।

এসএসএইচ