মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করেন হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের কারণে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি দূতাবাসের ফেসবুক পেজে সরাসরি প্রচার করে প্রবাসীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় হাইকমিশন চত্ত্বরে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাণী পাঠ করেন উপ হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন শ্রম কাউন্সিলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বাণী পাঠ করেন শ্রম কাউন্সিলর-২ মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর তাহমিনা বেগম।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বলেন, মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও জীবন দেওয়ার ইতিহাস একমাত্র গর্বিত বাঙালি জাতিরই আছে। এই ভাষা সংগ্রামের অর্জনেই লুকিয়ে ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা, যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি অর্জন করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ভাষা সংগ্রামের রক্তাক্ত অধ্যায় একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে তারই নেতৃত্বে ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতি দৃশ্যমান। তিনি দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
অপরদিকে মালয়েশিয়া যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে মালয়েশিয়া সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও হাইকমিশনার গোলাম সরোয়ার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রেক্ষিত এবং বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন সংস্কৃতি উপস্থাপন করা হয়।
এসএসএইচ