সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)।

এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর রিয়াদে বাংলাদেশি অভিবাসীরা ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান অপরিসীম। বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে তিনি দেশের ক্রান্তি লগ্নে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙ্গালির মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম অগ্রদূত ছিলেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলনে বঙ্গমাতার মুজিবের বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। আন্দোলনের উত্তাল সময় নিজ বাড়িতে পরম মমতায় নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আপ্যায়ন করতেন, সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনে ব্যবস্থা নিতেন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে যখন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তির কথা বললে, বঙ্গমাতা দৃঢ়ভাবে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এই সময়োচিত সিদ্ধান্ত আইয়ুব খানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিল।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ডিফেন্স এ্যটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে রিয়াদের বাংলাদেশ অভিবাসীদের মধ্যে ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব, প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, জাকির হোসেন ও মো. আব্দুস সালাম বঙ্গমাতার জীবনের ওপর বক্তব্য প্রদান করেন। দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন।

এসকেডি