চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশে সুযোগ অন্বেষণের আহ্বান
বাংলাদেশে বেশি করে সুযোগ অন্বেষণের জন্য চীনা নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ড. এম নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সুযোগ কাজে লাগাতে ও বাংলাদেশের সৌন্দর্য খুঁজতে চীন থেকে আমাদের বন্ধুদের বাংলাদেশ সফরের স্বাগত জানাই।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উদ্যোগে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. জাহিদ হোসেন ভার্চুয়ালি অভিনন্দন জানান। গুয়াংজু বাইয়ুন বিমানবন্দরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ছি ইয়াওমিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এখন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসাকে আকৃষ্ট করার জন্য একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও সুযোগ-সুবিধা তৈরি করেছে।
বিজ্ঞাপন
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঐতিহাসিক শহর গুয়াংজু, যা আগে ক্যান্টন নামে পরিচিত ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীনে ঐতিহাসিক সফরের সময় এই শহর ছিল প্রবেশপথ। বঙ্গবন্ধুর লেখা সফর ও ভ্রমণকাহিনী ‘আমার দেখা নয়াচীন’ আধুনিক দিনে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে।
দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যকর সহযোগিতা উল্লেখ করে বাংলাদেশি এই কূটনীতিক বলেন, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের পর থেকে এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ইয়ের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরে সর্বশেষ ঘোষণাগুলো সাধারণ জনগণ, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করেছে।
গুয়াংজু ও কুনমিং উভয় রুটে ফ্লাইটের অনুমতি পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস চীনের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ কাজ বেশ জটিল ছিল, তিনি যোগ করেন।
চীনের বাজারে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের অতিরিক্ত এক শতাংশ শুল্কমুক্ত প্রবেশের জন্য প্রাসঙ্গিক গেজেট জারি ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তাদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করায় চীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাস, বাইয়ুন বিমানবন্দরের বিভিন্ন দপ্তরসহ বিমানের কর্মকর্তারা এবং চীনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
ওএফ