মোবাইল ফোনে বিয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে খুন বাংলাদেশি তরুণী

দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজ বাসায় থেকে শান্তা ইসলাম (২২) নামে প্রবাসী বাংলাদেশি এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। তাকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার প্রাথমিক আলামত পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী সুমন মিয়া পলাতক।

দেশটির পুমালাঙ্গা প্রদেশের লাইডেনবার্গে এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামী সুমন মিয়ার সঙ্গে বসবাস করতেন শান্তা ইসলাম। সিনথিয়া শিকদার নামে এক টিকটক আইডিতে তিনি বেশ সবর ছিলেন।

রোববার (২৮ আগস্ট) ঘরের দরজা ভেঙে শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।

জানা গেছে, শান্তার বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ফলপাড়া গ্রামে। সুমন মিয়ার বাড়ি একই জেলার বাসাইল থানার কাঞ্চনপুর গ্রামে।

নিহত শান্তার এক আত্মীয়ের বরাত দিয়ে কমিউনিটি নেতা শফিকুর রহমান জানান, শান্তা তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। সুমনের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকায় সুমনের কাছে চলে আসেন শান্তা।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার কয়েক মাস পর থেকেই শান্তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন সুমন। বিভিন্ন সময় শান্তার পরিবার থেকে ব্যবসার জন্য মোটা অংকের টাকা পাঠাতে বাধ্য করেন সুমন। ওই অর্থ দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন সুমন।

শফিকুর রহমান বলেন, শান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে এক আত্মীয়কে খোঁজ নিতে পাঠায় তার পরিবার। শান্তার ওই আত্মীয় বাসার দরজা তালাবদ্ধ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দরজা ভেঙে মেঝেতে পড়ে থাকা শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে পু্লিশ।

তিনি বলেন, কী কারণে এ হত্যা তা এখনো স্পষ্ট নয়। ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত করছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনার পর থেকে সুমন মিয়ার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে ধরতে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ কাজ করছে।

ওএফ