দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে হত্যায় দায়ে দেশটির এক নাগরিকের ১৫ বছর সাজা দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (১২ আগস্ট) ডারবনের একটি আদালত তিন আসামির মধ্যে উপস্থিত এক আসামি কানকেনইয়েজি সেগাটলির সামনে ১৫ বছর করে সাজার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে দীর্ঘদিন থেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন শহিদুর রহমান। ডারবানের অদূরে তিনি কাঠের ব্যবসা করতেন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবার নিয়ে সুখেই চলছিল তার সংসার। গত বছরের ৭ জুলাই শহিদুর ব্যবসার কাজে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। 

জানা যায়, তার ব্যবসায়িক এলাকার পরিচিত কয়েকজন তাকে অপহরণ করে। পরে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার প্রায় ১৫ দিন পর শহীদুর রহমানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। ঘটনার পর শহীদুর রহমানের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে সেগাটলি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আদালতকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার সঙ্গে আরও দুজন জড়িত ছিলেন।

এরপর জড়িত তিন দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিকের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেপ্তারদের একজন কারাগারে আত্মহত্যা করেন। অপরজন এখনো পলাতক। ডারবনের একটি আদালতে উপস্থিত একমাত্র আসামির সামনে ১৫ বছর করে দুজনের সাজার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

নিহতের স্ত্রী উম্মে সালমা বলেন, এক বছর দুই মাস পর রায় হলো। মামলা নিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছি। বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতা করায় তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শহিদুর রহমান ১৯৯৮ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিলেন।

ওএফ