যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করেছে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন। ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ এই প্রতিপাদ্যে দেশটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে।  

দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় হাইকমিশনের হলরুমে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  হাই কমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। হাইকমিশনের কন্সুলার সহকারী এবাদুল্লাহর সঞ্চালনায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। শুরুতে স্বাগতম বক্তব্য প্রদান করেন হাই কমিশনের প্রথম সচিব ও দূতাবাস প্রধান মো. সোহেল পারভেজ। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মাতবর।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব মিজানুর রহমান ভুঁইয়া এবং দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম । এরপর শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে নির্মিত বিশেষ একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা পর্বে হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১১ বছরের ছোট্ট নিষ্পাপ শিশু রাসেলের আকুতিও নরপশুদের মন গলাতে পারেনি। মাত্র ১০ বছর ৯ মাস ২৭ দিন বয়সে এই প্রতিভাবান শিশুর জীবনপ্রদীপ নিভে যায়। খুনিরা শিশু রাসেলকে হত্যা করলেও তার স্মৃতি ও চেতনা হত্যা করতে পারেনি। শেখ রাসেলের স্মৃতি ছড়িয়ে দিতে ও বাংলাদেশের শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়গুলোতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, বিভিন্ন স্থানে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ তার উদাহরণ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন, এনবিএল মানি ট্রান্সফার প্রা. লিমিটেডের ডিরেক্টর মো. হান্নান খান কবির, ফোর এল ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

এমএ