মিশিগানে বিভিন্ন আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এ উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টারে কেক কাটা, আলোচনা সভা, কৃতি শিক্ষার্থীদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব মিশিগান। 

কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের পর বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণের পাশাপাশি ২০২২-২০২৪ সালের কার্যকরি কমিটিকে মঞ্চে ডেকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।     

অনুষ্ঠানে চবি অ্যালামনাই পরিবারের সন্তানদের অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করা ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।    
   
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মইন দিপুর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি লুৎফুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. দেবাশীষ মৃধা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড.তাহলীল আজিম চৌধুরী, ওয়াইনি মার্সি সাবেক ইস্ট্রাক্টর মোহাম্মদ এভর লস্কর ও হিমালয় এলএলসির ডাইরেক্টর চিনু মৃধা। 

প্রখ্যাত চিকিৎসক ড. দেবাশীষ মৃধা তার বক্তব্যে বলেন, আমরা দুটো ক্ষমতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করি। আমাদের কিন্তু অন্য কোনো ক্ষমতা নেই। সেই দুটো ক্ষমতার মধ্যে একটা হলো আশা, আরেকটা হলো ভালোবাসা। আমরা যাই বলি না কেন আমাদের এই ক্ষমতা আছে, সেই ক্ষমতা আছে, জ্ঞান আছে, বৃদ্ধি আছে এগুলো ক্ষমতা নয়। ক্ষমতা হলো আশা ও ভালোবাসা। 

আশা নিয়ে আমরা জন্মগ্রহণ করি যে আমরা বেঁচে থাকবো। আমরা বড় হবো। আমরা গড়ে উঠব। আমরা বড় কিছু হব। আমরা দেশের কল্যাণ করব, জাতির কল্যাণ করব। পৃথিবীর কল্যাণ করব। চিকিৎসক হব, সাহিত্যিক হব, লেখক হব, ব্যারিস্টার হব। সেই আশা নিয়ে আমরা জন্মগ্রহণ করি।

ভালোবাসাটি হলো মূল ক্ষমতা। অনেকে বলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তার আগে আমাদের ভালোবাসতে হবে। আমরা যা করছি যদি ভালো না বাসি তাহলে কিছুই হবে না। আমরা যদি ফুটবলকে ভালো না বাসি তাহলে ভালো খেলোয়াড় হতে পারর না। ঠিক তেমনিভাবে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেন তাহলেই আমরা একজন ভালো ডাক্তার হব।  

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শাহ খালিশ মিনার, অলিউর রহমান, মোস্তফা কামাল, সাহেদুল ইসলাম, খলকুর রহমান, জাবেদ চৌধুরী, কাজী এবাদুল ইসলাম, সুয়েব চৌধুরী, সানি জায়গীরদার, মাহমুদ রহমান, রাজিয়া প্রীতি, শতাব্দী রায় মাম্পী প্রুঁখ। কোরআন তেলেওয়াত করেন মোহাম্মদ আপ্তাব। গীতা পাঠ করেন অরবিন্দু চৌধুরী মৃদুল। 

পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সংগীত পরিবেশন করেন সবিতা দেব ও সৈয়দ শাফিসহ স্থানীয় শিল্পীরা।

জেডএস