অভিযুক্ত ব্যক্তি

প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে পণ্য আমদানি করছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ান এক নাগরিক। অবৈধ পন্থায় ব্যবসা করলেও তিনি ট্যাক্স দেন না। নেই আমদানির লাইসেন্সও। এ কারণে তার চারটি দোকান সিলগালা হয়েছে। 

সম্প্রতি তার আটটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার মালয়েশিয়ান স্ত্রী ধরা পড়লেও জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। 

এর আগে গত জানুয়ারিতে আরও এক বাংলাদেশি একই অপরাধে গ্রেফতার হন। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, এই দুই ব্যক্তি মিলে অবৈধ কাজ করছেন। তাদের কারণে দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এখন বিপাকে পড়েছেন।  

ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ান গেজেটের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক মালয়েশিয়ায় বিয়ে করে নাগরিকত্ব নিয়ে অবৈধ পণ্য পাচারের রাজ্য গড়ে তুলেছেন। গেজেটের প্রতিবেদনে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাগরিকা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি কোম্পানি গড়ে এসব কাজে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। কোম্পানির নথিপত্রে মালিক হিসেবে রাহাযু বিনতে ফৌজি নামের এক মালয়েশিয়ান নারীর নাম রয়েছে। এ সিন্ডিকেট মালয়েশিয়ায় নকল সিগারেট পর্যন্ত বিক্রি করে। তারা নিজেদের কারখানায় নকল আকিজ বিড়িও তৈরি করে। 

আরএইচ