১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ কোথায় হবে তা নিয়ে উত্তপ্ত দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন, এ নিয়ে ঢাকায় সংঘাতে একজনের মৃত্যুও হয়েছে

১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও গণমাধ্যমে সরকারি দল ও বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের কথার লড়াইয়ে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দান উত্তপ্ত হয়েছে।

পরিস্থিত দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসীরা আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে টার্গেট করলে সংঘাত-সংঘর্ষ রাজপথে ছড়িয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে যেতে পারে। আর তাতে সরকারি-বেসরকারি আফিস, ব্যবসা-বাণিজ্য, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাধার মুখে পড়তে পারে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের একটি বাংলাদেশি খাবারের দোকান পরিচালনা করেন মিন্টু মিয়া। তিনি বলেন, আমরা বিদেশে এসেছি টাকা রোজগার করে দেশ গড়তে। দেশকে আর্থিকভাবে সহাযোগিতা করার জন্য। দেশের ভবিষ্যৎ সুচিন্তিত করবে রাজনৈতিক দলগুলো। সেটা কিন্তু হচ্ছে না।  আমরা দেশ নিয়ে বেশি টেনশনে থাকি।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী ইকবাল হোসেন বলেন, স্বাধীনতা অর্জন করেছি, পঞ্চাশ বছর পরও আমরা রাজনৈতিক বিভাজন দেখতে পাচ্ছি। জাতির মধ্যে ঐক গড়ে ওঠেনি। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে গড়তে চাই।  কোনো সংঘাত, রক্ত, জীবনহানি এসব চাই না।  

জোহানেসবার্গের ব্যবসায়ী নোয়াখালীর ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে স্থানীয় একটি কলেজে পড়ছেন। তিনি বলেন, বিদেশে বসে দেশে থাকা পরিবার-পরিজন, ছেলেদের নিয়ে সারাক্ষণ  চিন্তায় থাকি। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করা দরকার।  

এনএফ