সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। 

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।

রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। তিনি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সব মুক্তিযোদ্ধাদের ও নির্যাতিত সকল মা-বোনদের। 

তিনি বলেন, এই হত্যাযজ্ঞে সরাসরি সহায়তা করেছিল তাদের দোসর এ দেশের রাজাকার, আলবদর ও আলশামস নামের ঘৃণিত কিছু কুলাঙ্গার। তারা চেয়েছিল বাঙালি জাতিকে মেধাহীন পঙ্গু জাতিতে রুপান্তর করতে, যাতে স্বাধীনতা অর্জন করলেও এ জাতি যেন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত মানবতা বিরোধী গণহত্যা ও বুদ্ধিজীবী হত্যায় যারা জড়িত ছিলেন তাদের বিচার কার্যক্রম শুরু করেছে। এ বিচারের আওতায় ১৯৭১ সালের অনেক আলবদর রাজাকার ইতোমধ্যে বিচারের আওতায় এসেছে। এসব আলবদর-রাজাকারের বিচার হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা শান্তি পেয়েছে।

জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। যে জাতিকে তারা মেধাহীন পঙ্গু করে দিতে চেয়েছিল, সে জাতি আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০৪১ সালে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এনআই/কেএ