বিগত চার বছরের মধ্যে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ক্রয়াদেশ পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার শিপইয়ার্ডগুলো। বিদায়ী বছরটি ভালোই ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শিপইয়ার্ডগুলোর জন্য। এছাড়া উচ্চ-মূল্যের ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ বিক্রিতে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। 

দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, অর্থমূল্যে দক্ষিণ কোরিয়া গত বছর মোট ৪ হাজার ৫৩০ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে। যা সব ধরনের জাহাজের বৈশ্বিক ক্রয়াদেশের ৩৭ শতাংশ। অবশ্য ৪৯ শতাংশ ক্রয়াদেশ প্রাপ্তির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে এগিয়ে ছিল চীন। তবে উচ্চ-মূল্যের জাহাজের ক্রয়াদেশ প্রাপ্তিতে একচ্ছত্র আধিপত্য দক্ষিণ কোরিয়ার। 

গত বছর এ সেগমেন্টের ক্রয়াদেশে তাদের হিস্যা ৫৮ শতাংশ। জাহাজের সংখ্যায়, বিক্রি হওয়া ২৭০ উচ্চ-মূল্যের জাহাজের মধ্যে ১৪৯টি দক্ষিণ কোরিয়ার। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজিচালিত জাহাজের ৭০ শতাংশ ক্রয়াদেশ পেয়েছে দেশটির জাহাজ নির্মাতা শিপইয়ার্ডগুলো। এছাড়া পরিবেশবান্ধব জাহাজের ৫০ শতাংশ বাজার হিস্যা দক্ষিণ কোরিয়ার। 

এক বিবৃতিতে দেশটির শিপইয়ার্ড সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উচ্চ-মূল্যের এবং পরিবেশবান্ধব জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়া এখন বিশ্বের এক নম্বরে রয়েছে। জাহাজ নির্মাণ খাতকে সহায়তায় চলতি বছর ১৩ হাজার কোটি ওন বা ১০ কোটি ২৪ লাখ ডলার বরাদ্দ করতে যাচ্ছে সরকার।

কেএ