১৯৬১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার পর দিনটিকে জাতীয় দিবস এবং ১৯৯১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইরাকি আগ্রাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে কুয়েত সরকার।

এরপর থেকে প্রতিবছর ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাক্রমে জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস পালন করে দেশটির সরকার। দিবসটি উপলক্ষে কুয়েতের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি বেসরকারি ভবন, সড়ক, পার্ক, শপিং মল, বাসাবাড়িসহ সব জায়গায় লাল, সবুজ, সাদা, কালো জাতীয় পতাকার রঙে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।

কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলে দিনটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় মেলা, নাচগান, অভিনয়, সার্কাস, জাদুসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস ঘিরে কুয়েত সাজে নতুন রূপে। ঈদের মতো এ দিনটিতে স্থানীয় নাগরিকরা আনন্দ করে থাকে। নারী পুরুষ সবাই জাতীয় পতাকার রঙে পোশাক পরিধান করে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা পানির পিস্তল, পানিভর্তি বেলুন নিয়ে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে একে অন্যের দিকে ছুড়ে মারে। বিশেষ করে আইল্যান্ড, সুক মোবারকিয়া, ২৫ নম্বর গালফ রোডটি মুখরিত হয়ে উঠে তাদের আনন্দ মিছিলে। 

স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বন্ধু-বান্ধব, পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ান এবং প্রিয়জনদের নিয়ে উপভোগ করেন কুয়েতের অপরূপ সৌন্দর্য। এদিন দেশটির আকাশে বিমানের শোভাযাত্রা, লেজার লাইটের প্রদর্শনীর মাধ্যমে কুয়েতে ইতিহাস ঐহিত্য তুলে ধরা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় কুয়েত সিটির লিভারেশন টাওয়ার। সেখান থেকে পুরো কুয়েত দেখা যায়। টাওয়ারে উঠতে স্থানীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের ছিল ভিড়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এমএ