কুয়েতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুক্রবার (১৭ মার্চ) যথাযোগ্য মর্যাদায় এ দিবসটি উদযাপিত হয়।

মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
     
এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 

এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহীদ ও মহান স্বাধীনতার জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ কেক কাটেন।

পরে দূতাবাসের হলরুমে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাণী পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

   
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বটি অত্যন্ত প্রাণবন্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তারা তাদের বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ সময় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বদানের কথা এবং তার সংগ্রামমুখর জীবনের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন।
    
এদিন বিকেলে এ উপলক্ষ্যে কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে শিশু-কিশোররা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী সকলকে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়াও, প্রতিটি গ্রুপ থেকে তিন জন বিজয়ীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। 

এমএ