যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস, কুয়েত। রোববার (২৬ মার্চ) সকালে দূতাবাসে এটি উদযাপিত হয়।

মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সকালে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকল শহীদ ও মহান স্বাধীনতার জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

পরে দূতাবাসের হলরুমে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। বাণী পাঠ শেষে দিবসের ওপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বটি অত্যন্ত প্রাণবন্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সমাপনী বক্তব্য রাখেন মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ আবুল হোসেন। দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

এমএ