ভ্রমণ, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে মানুষে শরীর ও মন উভয় ভালো থাকে। সব সময় কর্মব্যস্ততা মানুষের মধ্যে একঘেয়েমি তৈরি করে। যার ফলে স্ট্রোকসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় প্রবাসীদের। মানসিক প্রশান্তি ও চাপমুক্ত থাকতে প্রবাসীদের জন্য কাজের ফাঁকে অবসর ভ্রমণ ও খেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এ বি সিদ্দিক স্কাই টাচ ট্রাভেল ট্যুর ও বদুর ট্রাভেলসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফাইলাকা দ্বীপ ভ্রমণে এসব কথা বলেন কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার এ বি সিদ্দিক।

কুয়েত সিটি হতে ২০ কিলোমিটার দূরে নৌপথে জাহাজ বা বোটের মাধ্যমে যেতে হয় ফাইলাকা দ্বীপে। দ্বীপটি পুরাতন কুয়েত নামে পরিচিত। বন্ধুবান্ধব ও পরিবার নিয়ে অবসর কাটানোর মতো দর্শনীয় একটি স্থান এটি। দ্বীপে ঘুরতে আসা ভ্রমণপিপাসু স্থানীয়দের পাশাপাশি অন্য দেশের নাগরিকদের দেখা গেলেও প্রবাসী বাংলাদেশি পর্যটক ছিল সংখ্যা কম।

প্রবাসী মো. হোসনে মোবারক ও সেলিম হাওলাদার বলেন, আমাদের কাজটা প্রযুক্তি ও অনলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত। পুরো বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত  থাকলেও বাস্তবে কিছুই দেখা সম্ভব হয় না কাজের চাপে। তাই আমরা বন্ধুবান্ধব মিলে সমুদ্র ভ্রমণে ফাইলাকা দ্বীপে এসেছি। এখানে এসে অনেক কিছুই দেখলাম, বিশেষ করে এই দ্বীপে আসার উদ্দেশ্য হলো ১৯৯০ সালে প্রথম উপসাগরীয় কুয়েত ও ইরাক যুদ্ধের জরাজীর্ণ ভবন, ট্যাঙ্ক-বোন ইয়ার্ড এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত কাঠামোর সঙ্গে দ্বীপটির ঐতিহাসিক চিত্রগুলো দেখা।

যুদ্ধবিধ্বস্ত স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি, জাদুগর, ট্যুরিস্ট পার্ক, ফ্যামিলি পার্ক, শিশু পার্ক, রিসোর্ট, হোটেল ইত্যাদির মাধ্যমে পর্যটকদের জন্য একটি দর্শনীয় পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে কুয়েত সরকার।

/এসএসএইচ/