কুড়িগ্রামের ‘স্বভাবকবি’ খ্যাত রাধাপদ রায়ের (৮০) ওপর হামলার ঘটনায় নিউইয়র্কে দুটি পৃথক সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে লালন পরিষদ ইউএসএ। সমাবেশে হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় নেওয়া এবং ভবিষ্যতে সংস্কৃতিসেবীদের যাতে আক্রমণ না করা হয়, বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ দাবি জানানো হয়।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় প্রথম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায়। পরের সমাবেশটি হয় জ্যামাইকায় ১৬৮ হিল সাইড এভিনিউতে।

সংগঠনের সভাপতি এম হামিদের সভাপতিত্বে দুটি প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন— স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায়, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ, লেখক বেলাল বেগ, উদীচীর সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস,বাউল শিল্পী তাজুল ইমাম, মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকার, মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মিথুন আহমেদ, একুশের চেতনা পরিষদের ওবায়দুল্লা মামুন, মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আনোয়ার বাবলু, নাট্যকর্মী খায়রুল ইসলাম পাখী, লেখক মনিজা রহমান,রাজনীতিক জাকির হোসেন বাচ্চু, শিল্পীকলা একাডেমীর সভাপতি মনিকা রায়, গাইবান্ধা সোসাইটির অর্থ সম্পাদক দীলিপ মোদক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদেও নবেন্দু বিকাশ দত্ত, সাংস্কৃতিক কর্মী মিনহাজ আহমেদ শাম্মু, কবি ফকির ইলিয়াস,সমাজকর্মী ঝর্না চৌধুরী লেখক বেনজীর সিকদার, সাংবাদিক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন,পলাশ সাহা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির স্বীকৃতি বড়ুয়া,জাসদ নেতা নুরে আলম গেদু, আসলাম খান, আল্পনা গুহ, সাংবাদিক সাহাব উদ্দিন সাগর,কন্ঠশিল্পী শাহ্ মাহবুব, বাংলাদেশ ক্লাবের সভাপতি নুরুল আমিন বাবু, সাংবাদিক পিনাকী তালুকদার, চিত্রশিল্পীজাহেদ শরীফ, প্রগ্রোসিভ ফোরামের হিরো চৌধুরী,সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক কর্মী গাপাল স্যানাল।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের একজন কবির ওপর নির্যাতনের ঘটনায় আমরা লজ্জিত, বিব্রত ও ব্যথিত। রাধাপদ রায়কে নির্যাতনের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সংস্কৃতিজনের ওপর হামলা নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। কিছুদিন আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বাউলশিল্পী ও নাট্যকর্মীর ওপর হামলা, বাউলের বাদ্যযন্ত্র ও পান্ডুলিপিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে, যার কোনোটিই রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি।

এমএ