‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রিসে যথাযথ মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।

এ দিবস উপলক্ষ্যে এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা কর্মচারী এবং গ্রিসে বসবাসরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণীসমূহ পড়ে শোনানো হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে শেখ রাসেলের ওপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র পর্দায় দেখানো হয়, যা উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি করে।

গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদের সভাপতিত্বে ও দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব রাবেয়া বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ তথা গ্রিসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক  এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় দূতাবাসের মিনিস্টার মো. খালেদ, প্রথম সচিব (শ্রম) বিশ্বজিৎ কুমার পালসহ দূতাবাসের সকল কমকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।  

রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ বলেন- শেখ রাসেলের মতো একজন নিষ্পাপ শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ৭৫ এর ১৫ আগস্টের ঘাতকরা তাদের নিষ্ঠুরতার প্রমাণ দিয়েছিল। তাদের এই ঘৃণ্য কাজ জাতি কখনো ক্ষমা করেনি এবং ক্ষমা করবে না।

তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেলকে হত্যা করলেও শেখ রাসেল কোটি কোটি বাংলাদেশিদের মনে অনন্ত প্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন চিরকাল। 

তিনি ১৫ আগস্টের পলাতক ঘাতকদের ফাসির রায় কার্যকরের মাধ্যমে বিচার অতি দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন— গ্রিস আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নান মাতব্বর, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ আল আমীন (সিআইপি), সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন লিয়াকত, সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আলফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান রহিম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মৌসুমী পারভীন, জলিল হাওলাদার, আতিক খান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুমিন খাঁন, শিক্ষার্থী আরিফ হোসাইন ও শেখ সামিন রহমান প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, আজ যদি শেখ রাসেল বেঁচে থাকতেন তবে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হতো। 

তারা ৭৫ এর ১৫ আগস্টের ঘাতকদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন এবং এই সব খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের মাধ্যমে শেখ রাসেল এবং বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সব শাহাদৎবরণকারী সদস্যদের হত্যার বিচার অতি দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলসহ ৭৫ এর ১৫ আগস্টের শাহাদৎবরণকারী বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সব সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং সাফল্য কামনা করা হয়।

এমএ