সিডনিতে বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি দেশীয়ও সংস্কৃতি চর্চা ও জাতীয় দিবসগুলো পালনে তৎপর দেখা যায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সিডনির কনস্যুলেট জেনারেলকে। তেমনটি হলো মহান বিজয় দিবসেও।

সিডনিতে কনস্যুলেট জেনারেলের আয়োজনে উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো কমতি ছিল না। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করতে কাজ করেন কনস্যুলেট সংশ্লিষ্টরা।

প্রত্যুষে বাংলাদেশ হাউজের সবুজ প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বিকেলে বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এসময় উপস্থিত সবার সামনে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াৎ হোসেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য সিডনি প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা স্মারক। কনসাল জেনারেল সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জনে অবদান রাখা প্রতিটি বীর বাঙালির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ায় মনোনিবেশ করতে সবাইকে আহ্বান জানান। এছাড়াও বিগত এক দশকে আর্থসামাজিক খাতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য ও উন্নয়নের চিত্র তিনি তুলে ধরেন। তিনি উপস্থিত সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখার আহ্বান জানান। তিনি এসময় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ এবং সার্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।

আলোচনা পর্ব শেষে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনা দিয়ে সাজানো এ সাংস্কৃতিক পর্ব উপস্থিত সবার মন কেড়েছে।

সিডনির বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ বিজয় আনন্দে অংশগ্রহণ করেন। একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ও প্রত্যয় ব্যক্ত করে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

এসএসএইচ