পর্তুগালে স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে জীবনযাত্রা। ১৯ এপ্রিল থেকে দেশটিতে লকডাউন শিথিল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি জানান, ১৯ এপ্রিল থেকে মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। দোকান এবং শপিং সেন্টার, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং প্যাস্ট্রি শপগুলো (সর্বাধিক চারজন বা বাইরে প্রতি টেবিলে ছয় জন) রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এবং সরকারি ছুটির দিনে দুপুর ১টা) খোলা রাখা যাবে। সিনেমা, থিয়েটার, অডিটোরিয়াম, কনসার্ট হল, মুখোমুখি পরিষেবাসহ নাগরিক সেবা কেন্দ্র অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে, মাঝারি ঝুঁকির ক্রীড়া কার্যক্রম, ছয়জন পর্যন্ত বহিরঙ্গন শারীরিক কার্যকলাপ, স্বল্প উপস্থিতিসহ বহিরঙ্গন ইভেন্ট, বিবাহ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠানস্থলের সর্বমোট ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত লোক সমাগম করতে পারবে।

সংক্রমণ বেশি হওয়ায় পর্তুগালের সাতটি সিটি করপোরেশনে বর্তমান অবস্থা বজায় থাকবে। অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল এসব এলাকায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হবে না। তবে ব্যতিক্রম থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে একটি দেশে দুই ধরনের পরিকল্পনা থাকতে পারে না। তাই মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৯ এপ্রিল একযোগে খুলবে।

লকডাউন শিথিল করার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের কেন্দ্রে অবস্থিত সুপার মার্কেটের স্বত্বাধিকারী প্রবাসী বাংলাদেশি রেজাউল বাসেত ঢাকা পোস্টকে জানান, আমরা অধীর আগ্রহে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছি। যদিও শতভাগ লকডাউন উঠছে না  তারপরও এই শিথিলতার ফলে জনসাধারণের চলাচল বাড়বে এবং পর্তুগালের ব্যবসায়ী ও কর্মজীবীদের জীবনে মানসিক প্রশান্তি এবং কিছুটা হলেও আর্থিক সচ্ছলতা নেমে আসবে। ফলে রমজান ও সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে কিছুটা হলেও প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে পারব।

এদিকে পর্তুগালে চলমান জরুরি অবস্থা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ স্পেনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি প্রয়োজনে নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট দিয়ে চলাচল করা যাবে। বর্তমানে পর্তুগালের করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৮ জন। মারা গেছেন ১৬ হাজার ৯৩৩ জন।

এসএসএইচ