আরব আমিরাতের অন্যতম প্রধান শহর দুবাইয়ে গালফ ফুড মেলায় অংশ নিয়েছে বিশ্বের প্রায় ১৯০টি দেশের পাঁচ হাজার ৫শ-এর বেশি প্রতিষ্ঠান। ২৯তম এই আসরে নিজেদের পণ্য প্রদর্শন করছেন ব্যবসায়ীরা। বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ বাংলাদেশের ৪১টি খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। 

প্রতিবারের মতো এবারও দুবাইয়ের 'গালফ ফুড' মেলায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশি খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর ডেপুটি ম্যানেজার মো. রেজওয়ানুল হক গালিব।  

দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত 'গালফ ফুড' মেলার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি, ক্রেতা খুঁজতে দারুণভাবে সহায়তা করছে।  

এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী আগ্রহী ক্রেতাদের অনেকেই বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর স্টল পরিদর্শন করছেন। নতুন ক্রেতার তালিকায় বাংলাদেশি পণ্য নিতে আগ্রহী পর্যটনের স্বর্গরাজ্য দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের ব্যবসায়ীরা। এই মেলার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য বিশ্ববাজারে বিস্তৃত করা আরো সহজ হবে। 

দুবাইয়ের বাংলাদেশে দূতাবাসের কমার্শিয়াল অশেষ কুমার সরকার বলেন, মেলার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য বিশ্ববাজারে বিস্তৃত করা আরো সহজ হবে। এছাড়াও খুচরা পণ্যের বেচাকেনা না থাকলেও মেলায় নিজেদের পণ্যের ক্রেতা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।

ভোক্তাদের চাহিদামতো খাদ্যপণ্য রপ্তানি করা গেলে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়বে, তেমনিভাবে দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে বলে মনে করেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. রেহেন উদ্দিন।

মেলায় অংশ গ্রহণকারী আসফী মালদ্বীপ প্রাইভেট লিমিটেড এর সিইও মো. হাদিউল ইসলাম বলেন, ৫ দিনব্যাপী এই মেলায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের খাদ্যপূর্ণ ক্রেতার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ মেলা চলবে। 

এমএসএ