পর্তুগালের ১০ মার্চের জাতীয় নির্বাচনে ডানপন্থি অ্যালায়েন্স ডেমোক্র্যাট জোট ৭৯টি আসন নিয়ে বিজয় অর্জন করে। তবে পর্তুগিজ প্রবাসীদের ভোট ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন নিয়ে দেশটিতে নির্বাচন পরবর্তী নতুন সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

সংসদের ২৩০টি আসনের মধ্যে ইতোমধ্যে ২২৬টি আসনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আরও চারটি আসনের ফলাফল ঘোষণা এখনো বাকি। এ আসন চারটি হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্বের অন্য দেশে বসবাসরত পর্তুগিজ নাগরিকদের ভোট। এ ভোট গণনা এখনো শেষ হয়নি। নির্বাচনের পূর্ণ ফলাফলে মাত্র দুটি আসনে পিছিয়ে থাকা সোশ্যালিস্ট পার্টি যদি সমানসংখ্যক বা বেশি আসন পায় তাহলে সরকার গঠনের হিসাবটা জটিল হতে পারে।

এদিকে ডানপন্থি অ্যালায়েন্স ডেমোক্র্যাট যদি ৭৯ আসন নিয়ে সরকার গঠন করে তবে তা হবে সংখ্যালঘু সরকার। কেননা, যেকোনো বিল সংসদে পাস করতে হলে ১১৬ ভোটের বা ১১৬ জন এমপির সমর্থন প্রয়োজন হবে। যদিও কট্টর ডানপন্থি দল শেগা তাদের প্রাপ্ত ৪৮টি আসন নিয়ে অ্যালায়েন্স ডেমোক্র্যাটকে একসঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

অপরদিকে অ্যালায়েন্স ডেমোক্র্যাটের শীর্ষ নেতা লুইস মন্টিনিগ্রো শেগার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। তবে শেগার প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ভেনটুরা বলে রেখেছেন, যদি অ্যালায়েন্স ডেমোক্রেট শেগাকে না নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে সেক্ষেত্রে তারা ২০২৫ সালের বাজেট অনুমোদনের ক্ষেত্রে ভেটো দেবে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিল অনুমোদনের ক্ষেত্রে তারা সরকারি দলের বিপক্ষে অবস্থান করবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। অর্থাৎ শেগাদের নিয়ে সরকার গঠনের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি নতুন সরকার গঠনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী সংসদে নির্বাচিত দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। ১৪ মার্চ পর্যন্ত তিনি তিনটি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। আগামী ২০ মার্চে তিনি সর্বাধিক সংখ্যক আসন বিজয়ী অ্যালায়েন্স ডেমোক্রেট জোটের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সব দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে রাষ্ট্রপতি নতুন সরকার গঠন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে এবার রাষ্ট্রপতির জন্য নতুন সরকারের গঠন করার হিসাবটা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হিসেবেই বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

এসএসএইচ