ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে ‘রিমেম্বারিং দ্য বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১- দ্য রোড টু ইন্টারন্যাশনাল রিকগনিশন’ শীর্ষক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় হাউজ অব কমন্সের কমিটি রুম ৪-এ এ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ লর্ড সভার  সদস্য, ব্রিটিশ এমপি, শিক্ষাবিদ, আইন বিশেষজ্ঞ, মুক্তিযোদ্ধা এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা এতে অংশ নেন।

ব্রিটিশ লর্ড সভার সিনিয়র সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জার কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ার পৃষ্ঠপোষক এবং অনুষ্ঠানের হোস্ট। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নয় মাসব্যাপী গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করতে তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্য দূত এবং বাংলাদেশের এপিপিজির ভাইস চেয়ার টম হান্ট বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে নৃশংসতা ঘটেছিল তা একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা ছিল।’

কনজারভেটিভ লিঙ্কের চেয়ারম্যান লর্ড সুরি ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পক্ষে সংসদে নতুন প্রস্তাব আনতে যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পরাজিত পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ডের কাছে কীভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল। এর বিস্তারিত জেনেছেন তার চাচাতো ভাই অরোরার কাছ থেকে।

স্বাগত বক্তব্যে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ১৯৭১ সালের জুন মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে 'পূর্ব বাংলায় গণহত্যা বন্ধ করা এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার' প্রথম দিনের প্রস্তাবের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি নতুন প্রস্তাবের আহ্বান জানান।

আলোচনায় আরো অংশ নেন- কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ড. নাজিয়া, বার্মিংহ্যাম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মোহাম্মদ শহাব উদ্দিন, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট ও অল ইউরোপ নির্মূল কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি আনসার আহমেদ উল্লাহ, স্টাডি সার্কেলের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোজাম্মিল আলী ও প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ প্রমুখ।

এমজে