দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করলেন ব্রুনাইয়ের মুসলমানসহ সেখানে অবস্থান করা প্রবাসীরা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভোরের আলো ফোটার আগেই দেখা যায় সব বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুরা হাতে জায়নামাজ নিয়ে ছুটছেন মসজিদের দিকে। সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত শুরু হলে সেখানে লক্ষ্য করা গেছে মুসল্লিদের ভিড়। রাজধানী বন্দর সেরিবেগওয়ানসহ দেশের সকল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত।

দেশটির রাজধানীর বন্দর সেরিবেগওয়ান এলাকায় অবস্থিত সুলতান ওমর আলী সাইফুদ্দিন, জামেয়া আসর সুলতান হাসানাল বলকিয়া, আস-সালেহিন মসজিদসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় মসজিদে দেশের দূরদূরান্ত থেকে এসে বাংলাদেশি প্রবাসীরাও ব্রুনাইয়ের মুসল্লিদের সঙ্গে যোগ দেন ঈদের জামাতে। তাছাড়া ব্রুনাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় মসজিদে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

ঈদের নামাজের পর বাংলাদেশি মুসলমান কমিউনিটি পরিবার-পরিজন নিয়ে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনায় দিনটিকে নানা বৈচিত্র্যের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেন।

যদিও বাংলাদেশের মতো ঈদের আমেজ এখানে পুরোপুরি থাকে না, তবুও প্রবাসীরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেন অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময়, দেখা সাক্ষাৎ, খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানোয় ব্যস্ত থাকতে। এরই মধ্যে চলতে থাকে মোবাইল ফোনে দেশের প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেল থেকে শুরু হয় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ানো।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা বিকেলে দূতাবাস প্রাঙ্গনে প্রবাসী বাংলাদেশি ও ব্রুনাইসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় তিনি বলেন, সম্প্রীতি, সহমর্মিতা ও ঈদের চেতনা সবাইকে সাথে নিয়ে জাগিয়ে রাখব এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ দেবো আমরা।

পিএইচ